রবিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০২:৫৪ অপরাহ্ন

শিরোনাম :
ফিলিস্তিনে ইসরাইলি বসতি স্থাপন পরিকল্পনার নিন্দা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের আদর্শগত মতভেদ থাকলেও ফ্যাসিবাদবিরোধী ঐক্য ধরে রাখুন: সালাউদ্দিন আহমদ মদিনা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতার সুযোগ পেলেন টেকনাফের এরশাদ সহ বাংলাদেশি ৩ মেধাবী আলেম হাটহাজারি মাদরাসায় হামলার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে উনছিপ্রাং দারুল ইরফান বড় মাদরাসা মদিনা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হলেন টেকনাফের হ্নীলার কৃতি সন্তান এরশাদ ফের নৌকাসহ টেকনাফের ১২ জেলেকে ধরে নিয়ে গেছে আরাকান আর্মি টেকনাফ নাইট্যংপাড়ার শীর্ষ মানবপাচা কারী আলমগীর জাবেদ বিজিবির হাতে আটক স্বাস্থ্য সেবার অঙ্গীকার নিয়ে উনছিপ্রাং ডিজিটাল মেডিকেল সেন্টারের আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হ্নীলা আল্লামা শাহ ইসহাক(রহঃ) ফাউন্ডেশনের ১৫ সদস্য বিশিষ্ট আহবায়ক কমিটি গঠিত টেকনাফের হ্নীলায় ৯৯৯ এ ফোন করে প্রেমিক জুটি পুলিশের হাতে সোপর্দ অতঃপর…….
হাসিনা রেহানা জয় কাদেরসহ ৪৬ জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা

হাসিনা রেহানা জয় কাদেরসহ ৪৬ জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা

ডেস্ক রিপোর্ট ::

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের আনুষ্ঠানিক বিচারকাজ শুরু              হাসিনা রেহানা জয় কাদেরসহ ৪৬ জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা

সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনাসহ ৪৬ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির মধ্যদিয়ে শুরু হয়েছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের বিচারিক কার্যক্রম। গতকাল ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধে রাষ্ট্রপক্ষের পৃথক দু’টি আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ আদেশ দেন। ট্রাইব্যুনালের অপর দুই সদস্য হলেন, বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদ ও বিচারক মো. মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী। আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আবেদন করেন চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম।

সকাল ১১টা ২০ মিনিটের দিকে ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর এডভোকেট তাজুল ইসলাম শুনানি শুরু করেন। শুনানির শুরুতে ছাত্র আন্দোলনের তোপের মুখে দেশ ত্যাগকারী সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আবেদন করেন। একইসঙ্গে অপর একটি অভিযোগে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরসহ ৪৫ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আবেদন করেন। এ সময় চিফ প্রসিকিউটর ২০০৮ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতা নেয়ার পর থেকে গুম, খুন, তথ্য প্রযুক্তি আইনে হওয়া মামলার পরিসংখ্যান, শাপলা চত্বরে হেফাজত কর্মীদের হত্যা, আয়নাঘর, কানাডার বেগমপাড়াসহ অর্থ পাচারের পরিসংখ্যান এবং সর্বশেষ ছাত্র আন্দোলনে বল প্রয়োগের তথ্য তুলে ধরেন। চিফ প্রসিকিউটর আদালতকে বলেন, আসামিদের বিরুদ্ধে তদন্তে গণহত্যার প্রাথমিক অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে। আসামিগণ প্রভাবশালী। এখনো দেশের বিভিন্নস্থানে আসামির লোকজন বিভিন্ন পজিশনে আছে। তাই আলামত নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এ ছাড়া মামলার তদন্ত কাজ বাধাগ্রস্ত হতে পারে। তাই আসামির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আবেদন করছি।

একপর্যায়ে আদালত তার কাছে জানতে চান, রাষ্ট্রীয়ভাবে আসামির অবস্থান জানেন কিনা? জবাবে চিফ প্রসিকিউটর বলেন, না। তারপর আদালত চিফ প্রসিকিউটরের আবেদন মঞ্জুর করে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আদেশ দেন। একইসঙ্গে ১৮ই নভেম্বর মামলার পরবর্তী তারিখ রেখে এই সময়ের মধ্যে আসামিদের আদালতে হাজির করতে বলেন।

পরে তাজুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, আমরা গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আবেদন করেছিলাম। আদালত আমাদের আবেদন মঞ্জুর করেছেন। আদালত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে গ্রেপ্তার করার নির্দেশ দিয়েছেন। ১৮ই নভেম্বরের মধ্যে তাকে গ্রেপ্তার করে এই আদালতে উপস্থিত করার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন। প্রসিকিউটর সুলতান মাহমুদ বলেন, আমরা দু’টি পিটিশন দাখিল করেছি। প্রথমটিতে শুধু শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আবেদন এবং অপরটিতে ওবায়দুল কাদেরসহ ৪৫ জনের বিরুদ্ধে। ট্রাইব্যুনাল আমাদের আবেদন মঞ্জুর করে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি এবং ১৮ই নভেম্বরের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলেছেন।

শেখ হাসিনা ভারতে অবস্থান করছেন। কোন প্রক্রিয়ায় তাকে গ্রেপ্তার করা হবে। সাংবাদিকদের এ প্রশ্নের জবাবে ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর বলেন, গ্রেপ্তারি পরোয়ানা কার্যকর করার ব্যাপারে বাংলাদেশের প্রচলিত আইন ও আন্তর্জাতিক আইনে যেসব ব্যবস্থা আছে সেই সব প্রক্রিয়া এবং ব্যবস্থা গ্রহণ করেই এই গ্রেপ্তারি পরোয়ানা কার্যকর করার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এদিকে ওবায়দুল কাদের ছাড়াও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, সাবেক মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ.ক.ম. মোজাম্মেল হক, শেখ হাসিনার ছেলে ও সাবেক তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়, সাবেক বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক, অধ্যাপক ড. মুহম্মদ জাফর ইকবালসহ ৪৬ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন ট্রাইব্যুনাল। তবে তদন্তের স্বার্থে এবং তাদের গ্রেপ্তার নিশ্চিত করার স্বার্থে নাম প্রকাশ করা হচ্ছে না বলে চিফ প্রসিকিউটর জানিয়েছেন।  অন্য একটি সূত্র জানিয়েছে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা, তার বোন শেখ রেহানা, সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, সাবেক তথ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ এ আরাফাত,  সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, সাবেক আইনমন্ত্রী  আনিসুল হক, সাবেক শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি, মক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ.ক.ম মোজাম্মেল হক, তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা ও শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়, ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক, সাবেক বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক, অধ্যাপক ড. জাফর ইকবাল, আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম, ঢাকা দক্ষিণের মেয়র ব্যারিস্টার ফজলে নূর তাপস, যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ, সাবেক আইজিপি আবদুল্লাহ আল মামুন, সাবেক ডিবিপ্রধান হারুন অর রশিদ, পুলিশের সাবেক কর্মকর্তা বিপ্লব কুমার সরকার, প্রলয় কুমার জোয়ার্দার, ঢাকা মহানগর পুলিশের সাবেক কমিশনার হাবিবুর রহমান, সাবেক র‌্যাব ডিজি হারুন অর রশিদ, সাবেক সেনা কর্মকর্তা জিয়াউল আহসান, শেখ হাসিনার সাবেক উপদেষ্টা তারিক আহমেদ সিদ্দিকী, সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা মনিরুল ইসলামের নাম গ্রেপ্তারি পরোয়ানার তালিকায় রয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *




এই ওয়েবসাইটের লেখা ও ছবি অনুমতি ছাড়া কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।
Design By Bangla Webs